জাভাস্ক্রিপ্ট টিউটোরিয়াল-শিখুন গল্পে গল্পে সাথে 1100+ Exercise

  • জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি-Introduction to JavaScript
  • প্রোগ্রামিং শুরু করতে কতটুকু গণিত লাগে?
  • প্রোগ্রামিং শুরু করতে কতটুকু ইংরেজি জানা লাগে?
  • ভালো প্রোগ্রামার কিভাবে হবো? [+৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস]

কী দরকার ভালো প্রোগ্রামার হতে?


দোস্ত, শুরু করার জন্য গণিত আর ইংরেজির একটা ভরসা পাইলাম। তাইলে তো মনে হচ্ছে, যে কেউ প্রোগ্রামার হয়ে যেতে পারবে। 


— পসিবল, তবে যে কেউ তেমন কষ্ট না করেই প্রোগ্রামার হয়ে যেতে পারবে, এমন চিন্তা করা ঠিক না। কারণ, প্রোগ্রামার হওয়া একটা লম্বা জার্নি। প্রোগ্রামার হতে হলে অনেক বেশি ধৈর্য লাগবে। শিখতে গেলে অনেক কিছু প্রথম প্রথম বুঝতে পারবি না। তারপরেও ধৈর্য ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে বুঝার চেষ্টা করতে হবে। আবার একবার বুঝলে কয়দিন পরে আবার ভুলে যেতে পারিস, তখন আবার রিভিশন দেয়া লাগতে পারে। একদম রেগুলার থাকতে হবে। প্রায় প্রতিদিন সময় দিতে হবে শেখার জন্য। 


তবে মুখস্ত করতে যাবি না। মুখস্ত করলেও বেশি লাভ হবে না; বরং বুঝার চেষ্টা করবি। কারণ খোঁজার চেষ্টা করবি। সবকিছুর কারণ আছে। কেন হচ্ছে, সেটা ধরার চেষ্টা করবি। সব হয়তো প্রথম প্রথম ধরতে পারবি না। তারপরেও বুঝার দিকে ফোকাস করবি। কখনো মুখস্ত বা মনে রাখার কথা চিন্তা করবি না। তাহলে প্রোগ্রামিং শেখাটা কিছুটা চ্যালেঞ্জ আর অনেকটা মজার একটা কাজ হবে। 


যখন কোনো কিছু বুঝে ফেলবি, তখন খুব মজা লাগবে। আবার যখন কোনো একটা জিনিস বারবার চেষ্টার পরেও মিলতেছে না, তখন একটু ফ্রাস্ট্রেটেড লাগবে। এই দুই ধরনের ফিলিংসের মধ্যে শেখার জার্নি কন্টিনিউ করতে হবে। একটা ডেডিকেশন লাগবে। ফোকাস লাগবে। আশেপাশের ডিস্ট্রাকশনকে দূরে রাখতে হবে। সম্ভব হলে কয়েকদিন বিনোদন সেক্রিফাইস করে প্রোগ্রামিংয়ের ভিতরে ডুবে থাকতে হবে। তাহলে নিজের ভিতরে একটা ভালো লাগা শুরু হবে।


অল্পতে ছেড়ে দেয়া যাবে না। বিভিন্নজন বিভিন্ন জিনিস বলবে। তারপরেও লেগে থাকতে হবে। নতুন জিনিস শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। টেকনোলজি দুনিয়াতে নিত্যনতুন জিনিস আসতে থাকে। সেগুলা তোকে আনন্দ দিবে। সেগুলার ব্যাপারে একটা কিউরিসিটি মেইনটেইন করতে পারলে তোর জন্য প্রোগ্রামার হওয়া সহজ হবে। 


বুঝছি, দোস্ত, সাহস পাইছি আবার ভয়ও লাগতেছে। যদি শেষ পর্যন্ত না পারি, তাহলে কী হবে?


— শুন ভয়কে যত বেশি ফোকাস দিবি, ভয়ের পরিমাণ তত বেশি বাড়বে। আর চেষ্টাতে যত বেশি ফোকাস দিবি, সামনে তত আগাবি, আর ভয়ও অটোমেটিকভাবে কমে যাবে। 


তা ছাড়া তোকে প্রোগ্রামার হতেই হবে, এমন কোনো কথা নাই। জাস্ট দেখে রাখ, জেনে রাখ— তুই সিরিয়াস প্রফেশনাল প্রোগ্রামার না হলেও প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক কনসেপ্ট সব ফিল্ডেই ডাইরেক্ট এবং ইন্ডাইরেক্টলি কাজে লাগবে। 


১. তোর লজিক্যাল থিঙ্ক করার অ্যাবিলিটি বাড়িয়ে দিবে। 

২. অঙ্ক বা ক্যালকুলেশন করতে আরও বেশি কম্ফোর্টেবল হয়ে উঠবি। 

৩. বড় সমস্যাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করার অভ্যাস তৈরি হবে। 

৪. ডাটা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহ বাড়বে। 

৫. বড় বড় সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে, সেই আইডিয়া আসবে। 

৬. নিজের বিভিন্ন কাজে ছোটখাটো অটোমেশন করে ফেলতে পারবি। 

৭. ধৈর্য বেড়ে যাবে। 

৮. তুই যে ফিল্ডেই কাজ করস না কেন, সেখানে কিছু না কিছু সফটওয়্যার ইউজ করবি। সেগুলা সম্পর্কে আরও ভালো বুঝতে পারবি। খুব দ্রুত সেগুলাতে এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারবি।  

৯. আর কিছু হোক বা না হোক, বুড়া বয়সে তোর নাতি-নাতনিকে প্রোগ্রামিং শিখাতে পারবি। 


অর্থাৎ প্রোগ্রামিং শিখতে গেলে না পারলেও হারানোর কিছু নাই; বরং অনেক অনেক ডাইরেক্ট এবং ইনডাইরেক্ট লাভ আছে।  

আর, এই বই যেহেতু ধরছস— শুরু করে দে। বাকি যা আছে কপালে। 


Previous PageNext Chapter