জাভাস্ক্রিপ্ট টিউটোরিয়াল-শিখুন গল্পে গল্পে সাথে 1100+ Exercise

  • জাভাস্ক্রিপ্ট পরিচিতি-Introduction to JavaScript
  • প্রোগ্রামিং শুরু করতে কতটুকু গণিত লাগে?
  • প্রোগ্রামিং শুরু করতে কতটুকু ইংরেজি জানা লাগে?
  • ভালো প্রোগ্রামার কিভাবে হবো? [+৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস]
  • জাভাস্ক্রিপ্ট ভেরিয়েবল
  • log-এর গোল, console
  • String ধরে মারো টান
  • কানামাছি true কানামাছি false
  • জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে- গণিতের গ্যাংস্টার

ভেরিয়েবল কী এবং কীভাবে কাজ করে?


দোস্ত, একটা জিনিস সব সময় খেয়াল রাখবি। প্রোগ্রামিং শিখতে গেলে— প্রোগ্রামিং শিখতেছি, সেটা চিন্তা করবি না। চিন্তা করবি, তোর আশেপাশের কিছু জিনিস দেখতেছোস। চারপাশের কিছু না কিছু জিনিসের সাথে প্রোগ্রামিংয়ের অবশ্যই মিল আছে। সেগুলার সাথে কানেক্ট করতে পারলে প্রোগ্রামিংটাকে এনজয় করতে পারবি। আর যদি কখনো কানেক্ট করতে না পারস, তাহলেও ধৈর্য ধরে এগুতে থাকবি। কয়দিন পরে ঠিকই কানেক্ট করতে পারবি। 


এই যেমন ধর আমাদের সবার বাসা-বাড়িতে অনেক কিছু রাখতে হয়। রান্নাঘরে গেলেও দেখবি মশলা, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, ডিম ইত্যাদি অনেক জিনিস রাখা আছে। ধর, আমি তোকে অনেকগুলো কৌটা দিলাম। এক একটি সাদা কৌটায় তুই একেক রকম আইটেম বা জিনিস রাখলি। 


  • একটা কৌটাতে ময়দা
  • একটা কৌটাতে চিনি
  • একটা কৌটাতে লবণ
  • একটা কৌটাতে সুজি
  • একটা কৌটাতে সাগুদানা


খুশিতে-ঠেলায় তো কৌটার মধ্যে একটা একটা জিনিস রাখছোস। এখন দুইদিন পরে কেউ যদি বলে, লবণের কৌটা নিয়ে আসো। তখন তুই কনফিউজড হয়ে যাবি। কোন কৌটার মধ্যে লবণ আছে, আর কোন কৌটার মধ্যে চিনি বা সুজি বা ময়দা আছে। আর তুই হালকা একটু চালাক চতুর হলে—


  • যে কৌটার মধ্যে ময়দা রাখলি, সেই কৌটার বাইরে লিখে দিতি ‘ময়দা’
  • একইভাবে যে কৌটার ভিতরে চিনি রাখলি, বাইরে থেকে লিখে দিতি ‘চিনি’
  • আর যে কৌটাতে লবণ রাখলি, সেই কৌটাতে লিখে দিতি ‘লবণ’


এইভাবে সবগুলা কৌটার একটা নাম থাকলে তুই চট করে যে জিনিস দরকার, সেটা নিয়ে আসতে পারবি।

 

এইটাই ভেরিয়েবলের রহস্য। কারণ, প্রোগ্রামিং করার সময় বিভিন্ন ধরনের ডাটা বা তথ্য রাখা লাগবে। এই তথ্যগুলো রাখার একটা স্পেশাল জায়গা লাগবে। কম্পিউটারের মেমোরির মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় এইগুলা রাখা হবে। তবে শুধু রাখলেই হবে না; বরং যেখানে যে জিনিস রাখবে, সেটার একটা নাম দিতে হবে। যাতে নাম দিয়ে সেই জিনিসের মধ্যে যে ডাটা, তথ্য, ভ্যালু বা মান আছে, সেটাকে নিয়ে আসতে পারোস। 


ভেরিয়েবল কী?

এখন একটু সন্ধি বিচ্ছেদ করে ফেল, যেমন:


  • বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়
  • হিম + আলয় = হিমালয়
  • জান + টুস = জান্টুস 


একইভাবে তুই বলতে পারিস: vari + able = variable


অর্থাৎ কোথাও কোনো একটা জিনিস রাখা আছে, সেটা চেইঞ্জ হতে পারে বা ভ্যারি করতে পারে বা পরিবর্তন হতেই পারে, সেটা হচ্ছে ভেরিয়েবল।


ধর, সাদা কৌটাতে যতটুকু তুই চিনি রাখছিলি, সেটা ভ্যারি করতে পারে। কারণ হতে পারে—


  • তুই আঙ্গুল দিয়ে এক চিমটি চিনি খেয়ে ফেল্লি।
  • ইঁদুর আংকেল লেবুর শরবত খাওয়ার জন্য দুই চামচ চিনি খেয়ে ফেলল।
  • পিঁপড়া ভাইয়ারা এসে পিঠে করে যতটুকু পারছে, চিনি পাচার করে নিয়ে গেল। 
  • বাবার বয়সি একজন চিনি খেতে খেতে চিনি বাবা হয়ে গেল। 


এমন অনেকভাবেই চিনি যতটুকু ছিল অর্থাৎ, চিনির পরিমাণ (quantity) যতটুকু ছিল সেটা চেইঞ্জ হয়ে যেতে পারে। তবে সব সময় যে চিনির পরিমাণ চেইঞ্জ হবে এমন না। তবে কখনো কখনো চেইঞ্জ হতে পারে, আবার দরকার হলে চেইঞ্জ না-ও হতে পারে। আর এইটাকেই বলে ভেরিয়েবল।


সহজভাবে বলতে গেলে— কোনো একটা মান, যেটা চাইলে চেইঞ্জ হতে পারে বা ভ্যারি করতে পারে সেটাই ভেরিয়েবল। 


কৌটার ওপরে নাম লেখার মতো করে ভেরিয়েবলের নাম দিতে হবে। কারণ, আমি যদি তোকে এসে বলি 38: এই 38 টা কী হতে পারে?


  • হতে পারে কারো বয়স, কারো ওজন বা কারো পকেটে কত টাকা আছে অথবা কারো বন্ধুর সংখ্যা।
  • আবার ব্রাউজারে তুই কয়টা ট্যাব খুলে রাখছস কিংবা প্রতিদিন কয়বার করে বলিস, আজকেই পড়া শুরু করবো কিন্তু শেষ পর্যন্ত পড়া শুরু করা হয় না।


অথচ 38 বলার সাথে সাথে তুই যদি বলে দেস weight বা ওজন। তখন স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে যে, কারো ওজন হচ্ছে 38 কেজি।


কনসেপ্টটা তো কিছুটা বুঝা গেল। এইবার দেখ কোডিংয়ের সময় ভেরিয়েবল লিখতে গেলে কী কী করা লাগে। 


ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করার জন্য পাঁচটা জিনিস লাগে—

  1. const: এটার মাধ্যমে বোঝা যায় যে, তুই একটা ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করেছিস।
  2. নাম: নাম দিয়ে বুঝাবে, ভেরিয়েবলে কী রাখা হচ্ছে।
  3. সমান চিহ্ন, ইকুয়াল সাইন (=): এটা দিয়ে বুঝাবে, তুই একটা মান সেট করতে যাচ্ছিস।
  4. মান: ভেরিয়েবলের মান যেটা হবে, সেটা লিখবি। 
  5. সেমিকোলন: একদম শেষে একটি সেমিকোলন থাকবে। এটা দিয়ে বুঝবে, সেই লাইনের কোড লেখা শেষ। অনেকটা ফুলস্টপের মতো। সেমিকোলন দেয়াটা অপশনাল। চাইলে দিতে পারস, আবার না দিলেও চলে।


এই হচ্ছে টোটাল পাঁচটা জিনিস, যা একটি ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার করতে প্রয়োজন। এই পাঁচটা জিনিস কীভাবে ইউজ করে, সেজন্য পাঁচটা ভেরিয়েবলের উদাহরণ দিলাম। 


উদাহরণ:

  const weight = 38;

  const price = 760;

  const year = 1865;

  const balance = 2000;

  const age = 14;


সমান চিহ্নের বামপাশে যেটা আছে, সেটা হচ্ছে নাম বা ভেরিয়েবলের নাম, আর ডানপাশে যেটা রয়েছে, সেটা হচ্ছে মান বা ভ্যালু।


Problem For Practice

  1. তোর জন্মসালটি একটা ভেরিয়েবলে রাখ।
  2. তোরা কয় ভাই-বোন, সেটা একটা ভেরিয়েবলে রাখ।
  3. তোর ক্লাসে কতজন স্টুডেন্ট আছে, তাদের সংখ্যা দিয়ে students নামক একটা ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার কর।
  4. লাস্ট পরীক্ষায় কত নাম্বার পাইছিলি, সেটা দিয়ে marks নামক একটা ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার কর। 
  5. তোর বাসায় কয়টা রুম আছে, সেটা নিয়ে rooms নামক একটা ভেরিয়েবল ডিক্লেয়ার কর।
  6. তোর দৈনিক পড়াশোনার সময়কে ঘণ্টা হিসেবে একটি ভেরিয়েবলে রাখ।
  7. তোর ফোন নাম্বারে যতগুলা ডিজিট বা অঙ্ক যোগ করে যোগফল total নামে একটা ভেরিয়েবলে রাখ।
Previous ChapterNext Page